একফালি রঙ
চুমু যদি পাপের মাপকাঠি হয়,
এঁকে দেবো,
তোমার চুলের ডগায়।
এঁকে দেবো,
চোখের পাপড়িতে।
নাকঘষা নাক,
ঠোঁটে এঁকে দেবো
এক মস্ত উম্মা।
রঙ যদি হয় রাঙা সূর্য,
হাসবো ভিষণ উল্লাসে,
লোকচক্ষুর সমান্তরালে।
লাজ যদি খুব ভিড় করে,
হাত ছোঁবো ওই বুকের ভাঁজে।
মুখ যদি না তোলো,
একটু হেসে কথা বলো!
এরবেশি আর করবো না নিশ্চয়!
সভ্যতা ভাই,
ভাঙবো না আর।
এটুকুতেই জানি,বর্তে যাবে।
তুমি কি আর আমার হবে?
এটকু পাপ আমাকে দেবে?
ধূলোর দাগ
ধূলোয় পা রেখে হেঁটে আসতেই
ধূসর রুপালী আলতা রঙ।
কত ঘষাঘষি,
কত জল তেল,
আলতা মোছে,
মোছে না ধূলোর দাগ।
নিদাগ এখন
অতীত দীর্ঘশ্বাস।
উদাসী
কতখানি নেশাতুর হলে
নগর সভ্যতার দ্বারে
নগররক্ষক আর্তি জানায়,
প্রলাপের জবাব হবে ভালোবাসায়।
দ্রৌপদী নয়,
রাধার প্রণয়।
কৃষ্ণের উদাসী কথকতা।
অতর্কিতে
লাল পিঁপড়ে
বাড়ি করেছে
ভাড়ার ঘরে।
যত ছিটাই বিষ ওষুধ
দিনাতিপাতে বংশ বাড়ে।
ঘরে ঘরে ঢুকে যায়
বিষাক্ত বিষবাষ্প -
সন্ধেহ যার নাম,
অনিশ্চিত পরিণাম।
বন্দিনী
শব্দহীন কাঁচপাত্রে
রেখেছো কয়েদ করে।
স্বচ্ছতায় দেখছো বটে
শব্দ পাচ্ছো না।
মুখ খুললে
মানবিক গুণাবলির
ব্যাখ্যা চাই,
নিজেকে মানুষ ভাবছি,
এ ভাবনা তোমাদের বিপরীত।
জানি,
পৌরাণিক লিলিথকে
যেমন মনে রাখো না।
নারী এক কাঁচের ভেতর
নীরব সংগীত।